গত শনিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় বিচ্ছেদ হওয়ার সিধান্ত ঘোষণা করেছেন অভিনেতা আমির খান এবং তার স্ত্রী কিরণ রাও। তারপর থেকেই কার্যত সারা দেশ জুড়ে পড়ে গেছে রই রই কান্ড। তিন বছর লিভ ইনের পর ২০০৫ সালে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন কিরণ এবং আমির।
অভিনেত্রী অদিতি রাও হায়দারির তুতো বোন কিরণ ইন্ডাস্ট্রিতে পা রেখেছিলেন সহকারী পরিচালক হিসেবে। লাগান’ ছবিতে প্রথম সহকারী পরিচালকের কাজ পান কিরণ। সেখানেই আমিরের সঙ্গে তার প্রথম আলাপ তবে সেসময় বেশি কথা হয়নি তাদের মধ্যে।
অন্যদিকে আমিরের স্ত্রী রিনা দত্তের সহকারী হিসেবেও কাজ করেছেন কিরণ। এরপর হঠাৎ করেই আমিরের সঙ্গে রিনার বৈবাহিক জীবনের ইতি ঘটে সেই সময়ে আমিরের ওপর দিয়ে খুব খারাপ সময় যেতে থাকে তবে দুঃসময়ে তিনি পাশে পান কিরণকে। তাদের মধ্যে কথাবার্তা বাড়তে থাকে এবং ধীরে ধীরে সেই সম্পর্ক প্রেমের সম্পর্কে পরিণত হয়।
আমির এবং কিরণের এক পুত্র সন্তান রয়েছে যার নাম আজাদ। বিচ্ছেদের পরেও একত্রে দুজনে মিলে আজাদকে বড় করবেন বলে জানিয়েছেন আমির এবং কিরণ দুজনেই। প্রফেশনাল জীবনেও তারা একে অপরের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন। এই বিচ্ছেদ দুজনেরই ঠান্ডা মাথায় নেওয়া সিধান্ত।
বিচ্ছেদের পেছনে অন্য গল্প :
তবে আমির খানের সঙ্গে কিরণ রাওয়ের বিচ্ছেদের পেছনে অন্য কারণ দেখছেন নেটিজেনদের একাংশ। ‘দঙ্গল’ ছবিতে আমিরের মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন ফাতিমা সানা শেখ। এরপরে ‘থাগস অফ হিন্দুস্থান’ ছবিতেও দেখা গেছে তাকে কিন্তু পর্দার বাইরেও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ফাতিমা এবং আমিরকে দেখা গেছে একসঙ্গে।
এখান থেকেই নেটিজেনদের একাংশের ধারণা চুপি চুপি প্রেম করছেন ফাতিমা এবং আমির খান। ইতিমধ্যেই নেটদুনিয়ায় ফাতিমাকে আক্রমণ শুরু করেছেন নেটিজেনদের একাংশ। অনেকে তাকে আমির কন্যার আগামী মা হিসাবে দাবি করেছেন কেউ কেউ তো বলেছেন আমির খান এবং ফাতিমার বিয়ে শুধু সময়ের অপেক্ষা।
তবে যেখানে আমির এবং কিরণ দুজনের সহমতে বিচ্ছেদ হচ্ছে এবং তাদের কোন অসুবিধা নেই সেখানে বাকিদের এত অসুবিধা কোথায় তা বুঝতে পারছেন না অনেকেই। পরিচালক রাম গোপাল বর্মা মানুষের নিম্নরুচির পরিচয় নিয়ে সরব হয়েছেন এই ঘটনায়।
তবে সম্পর্কের ভাঙা, গড়া গ্ল্যামার ওয়ার্ল্ডে লেগেই থাকে। সেখানে দাঁড়িয়ে অহেতুক আলোচনা সমালোচনার থেকে আগামী দিনে কী হয় সেদিকেই চোখ থাকবে সকলের।