বর্তমানে সারা দেশের মানুষের কাছে অরিজিৎ সিং (Arijit Singh) নামটাই যথেষ্ট। ‘মেলোডি কিং’ নামে পরিচিত এই গায়ক খুব অল্প সময়ের মধ্যে জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছে গেলেও এখনও নিজের শিকড়কে ভোলেননি তিনি। মূর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জের ছেলে অরিজিতকে আজ দেশের পাশাপাশি বিদেশের বহু মানুষ চেনের এক নামে। পৃথিবীর নানা শহর ঘুরে কনসার্ট করেছেন তিনি। মাত্র ১৯ বছর বয়সে জনপ্রিয় একটি রিয়্যালিটি শোয়ে অংশগ্রহণ করেছিলেন অরিজিত। সেখান থেকে খালি হাতেই ফিরেছিলেন তিনি তবে তারপর থেকে আর পিছনে ফিরে দেখেননি গায়ক। চেষ্টা করে গেছেন নিজের মতো করে।
অরিজিৎ সিং (Arijit Singh) এর প্রথম গান :
প্রতিযোগীতায় ষষ্ঠ হলেও পরে মিউজিক ডিরেক্টর প্রীতম এবং বিশাল-শেখরের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পান তিনি। বাংলার জনপ্রিয় রিয়্যালিটি শো ‘দাদাগিরি’র টাইটেল ট্র্যাকও অরিজিতেরই গাওয়া তবে ‘ফির মোহাব্বাত কার নে চালা হ্যা তু’, ‘আশিকি টু’ ছবির টাইটেল ট্র্যাকের মাধ্যমে পা রাখেন বলিউডে এবং তখন দেশজুড়ে তার পরিচিতি গড়ে ওঠে। এর পাশাপাশি তার গাওয়া বাংলায় ‘বোঝেনা সে বোঝেনা’ ছবির টাইটেল ট্র্যাক আজও মানুষকে সমান আবেগপ্রবণ করে তোলে। এরপরে বলিউডে একাধিক গান গেয়েছেন তিনি এবং এখনও গেয়ে চলেছেন সমান ভাবে তবে বরাবরই নিজের পা মাটিতে রেখে চলতে ভালোবাসেন অরিজিত।
অরিজিৎ সিং (Arijit Singh) এর সাধারণ জীবনযাপন :
তার সাধারণ জীবনযাপন, সমীহ ব্যবহার বারবার মুগ্ধ করেছে সাধারণ মানুষকে। ছোটবেলার বান্ধবী কোয়েল কে বিয়ে করেছেন ২০১৪ সালে। সম্প্রতি মা কে হারিয়েছেন গায়ক তবে মানুষের সাহায্যের জন্য সদা প্রস্তুত অরিজিত মূর্শিদাবাদ জেলা স্বাস্থ্য দফতরে পাঁচটি হাই ফ্লো অক্সিজেন থেরাপি মেশিন দান করেছেন যাতে দ্রুততা এসেছে করোনার চিকিতসায়। এছাড়াও কঠিন সময়ে নিজের এলাকার মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন গায়ক। করোনা অতিমারীতে গ্রামের মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য টানা ২ ঘন্টা লাইভ কনসার্ট করেছেন তিনি।
অরিজিৎ সিং (Arijit Singh) এর গান (Song) বাঁচার রসদ :
মাত্র ৩৪ বছরের এই গায়ক খ্যাতির সর্বসীমায় পৌঁছে গিয়েও তার সাদামাটি হাসি এবং সুরের যাদু দিয়ে মোহিত করে রেখেছে সকলকে। অরিজিতের গলায় ‘স্যাড সং’ শুনে শক্ত হয়ে নতুন করে বাঁচার মানে খুঁজে পেয়েছে নব প্রজন্মের বহু উঠতি প্রেমিক প্রেমিকা। সদ্য গোঁফের রেখা গজানো তরুণ নিজের প্রেমিকাকে ইম্প্রেস করতেও বেশিরভাগ সময় সেই অরিজিত সিং ই ভরসা। অর্থ, যশ, প্রতিপত্তি সত্ত্বেও আর পাঁচজন সাধারণ মানুষের মতো করে জীবন কাটিয়ে দিচ্ছেন অরিজিত যা তাকে বাকি সকলের থেকে আলাদা করে খুব সহজেই।