ছোটবেলায় একটি কবিতা আমরা পড়েছি, ‘সময় চলিয়া যায় নদীর স্রোতের প্রায়/যে জন না বোঝে তারে ধিক শতধিক’, কিন্তু প্রশ্ন হল সময়ের মূল্য বুঝেও আপনি কি করবেন? জীবনের রোজকার ইঁদুর দৌড়ে দৌড়াতে গিয়ে, সংসারের যাঁতাকলে নিজেকে পিষে থোড়াই আর ফুরসত পাবেন নিজের জন্য সময় বের করতে? এরপরেই হঠাৎ ফস করে নাকের ডগা দিয়ে বয়স পেড়িয়ে মাঝবয়সে পা দেবেন। সেই সাথে জুড়ে যাবে শরীরের ব্যামো আর সাথে হাজারটা চিন্তা। কিন্তু এই ছকভাঙ্গা জীবন থেকে যদি বেরোতে ইচ্ছে হয় তখন? মানে যদি আবার ইচ্ছে হয় চুলে হাইলাইট করিয়ে রোমিও সাজার? তা কি চল্লিশ বছরে সম্ভব? আপনার সামনে এই প্রশ্ন রাখতেই আসছে সঙ্গীতধর্মী স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবি ‘মাঝবয়সী’।
অভিনেতা এবং গায়ক হিসেবে বারবার নিজেকে প্রমাণ করেছেন পোড় খাওয়া অভিনেতা খরাজ মুখার্জি। বাংলা ছবিতে কমেডি থেকে সিরিয়াস সবরকম চরিত্রেই নিজেকে খাপ খাইয়ে দর্শককে মুগ্ধ করতে তার জুড়ি মেলা ভার। আর সেই খরাজ বাবুরই গলায় আমরা শুনবো মাঝবয়সী সাথে তার দুর্দান্ত অভিনয় তো রয়েছেই। সবমিলিয়ে এই ছবিতে এন্টারটেইনমেন্টের যে কোন অভাব হবেনা সেকথা বলাই বাহুল্য।
পাথফাইন্ডারের উপস্থাপনায় টলিটাউন প্রোডাকশান হাউস প্রযোজিত স্বল্পদৈর্ঘ্যের সঙ্গীতধর্মী ছবি ‘মাঝবয়সী’ যার মিউজিক কম্পোজ করেছেন দেবদত্ত শ্রীমানি, সঙ্গীত আয়োজক অভিষেক ব্যানার্জি, গানের কথা দিয়েছেন উৎপল দাস। পরিচালনা করেছেন কল্যাণ রায়। গল্প এবং চিত্রনাট্যি লিখেছেন অরিজিৎ মুখার্জি। প্রযোজক দেবমাল্য শ্রীমানি। নির্বাহী প্রযোজক অর্ণব দে। প্রধান সহকারি পরিচালক – ঋতুপর্ণা করী।সহকারি পরিচালনায় – সার্থক দাস,শুভদীপ ঘোষাল, অঙ্কিতা সরকার, সুদীপ্তা গোস্বামী। ব্যবস্থাপনায় – বিশ্বজিৎ পাল। বিশেষ উপস্থিতিতে দেখা যাবে জিনা তরফদারকে। গতকালই পাথফাইন্ডার টিভি অরিজিনালস এর ইউটিউব চ্যানেলে এসে গেছে ‘মাঝবয়সী’। এখনও যদি দেখে না থাকেন তাহলে আর বেশি দেরি না করে এখনই ঢুঁ মারুন সেখানে।