রানু মন্ডল (Ranu Mondal) এর উঠে আসার গল্প :
সাল ২০১৯, হঠাৎ করেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায় একটি নাম। রানু মন্ডল (Ranu Mondal)। রানাঘাট স্টেশনে ভিক্ষা করতে করতে তিনি গেয়ে উঠেছিলেন লতা মঙ্গেশকরের গাওয়া ‘পেয়ার কা নাগমা হ্যা’। সেই গান ঘুরছিল সকলের ফোনে ফোনে। মুহূর্তের মধ্যেই সেই গানের দর্শকসংখ্যা হাজার হয় এবং মুহূর্তের মধ্যে হাজার থেকে লাখ। তারপরেই সবার মুখে মুখে রানু মন্ডল (Ranu Mondal)।
তবে এখানেই শেষ নয়, এরপর জনপ্রিয় রিয়্যালিটি শো ‘ইন্ডিয়ান আইডল‘ এ গেস্ট হিসেবে আসেন রাণু মন্ডল (Ranu Mondal)। তখন তিনি রাতারাতি জনপ্রিয়তার শিখরে। বিচারকদের সমানে খালি গলায় গান গেয়ে মুগ্ধ করেন প্রতিযোগী সহ গোটা দেশবাসীকে। হিমেশ রেশমিয়া সেখানেই ঘোষণা করে দেন রানু মন্ডল (Ranu Mondal) তার পরের ছবিতে প্লেব্যাক করবেন।
হিমেশ রেশমিয়ার ছবিতে ‘তেরি মেরি কাহানি’ গাইলেন রানু মন্ডল (Ranu Mondal) :
এরপর পুজোর গান, হিমেশ রেশমিয়ার ছবিতে ‘তেরি মেরি কাহানি’ গেয়ে খুব সহজেই সকলের মন জয় মরে নিয়েছিলেন তিনি। হিমেশ রেশমিয়ার ইনস্টাগ্রাম থেকে ভাইরাল হয়ে যায় প্লেব্যাকের ভিডিও। সেখান থেকে সদ্য জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছে যাওয়া রাণু দেবীর বাড়িতে সাংবাদিকদের ভিড়। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে লাইভে গান গাওয়ার জন্য ডাকা হয় তাকে। সব মিলিয়ে তাঁর জীবন সিনেমার চিত্রনাট্যকেও হার মানাবে। এরমধ্যেই হঠাৎ করে ফিরে আসেন তাঁর মেয়ে। মায়ের সঙ্গে দীর্ঘদিন কোন সম্পর্ক না থাকলেও মায়ের জনপ্রিয়তা দেখে মেয়ে ফিরে আসেন মায়ের কোলে।
বিতর্কে রানু মন্ডল (Ranu Mondal) :
তবে এসবের মাঝেও বিতর্ক অল্প অল্প করে জন্ম নিচ্ছিল। সাংবাদিকদের সামনে বেফাঁস কথা বলেছিলেন তিনি। তার ভুলভাল ইংরাজি বলার ভিডিও ভাইরাল হয়ে গেছিল। নেটিজেনরা যেমন তার গুণকে সমাদর করেছিল তেমনি তার ভুল নিয়ে শুরু হতে থাকে ট্রোলিং এবং মিম। ব্যক্তিগত আক্রমণও করেন কেউ কেউ।
হঠাৎ করে যেমন সকলের সামনে এসেছিলেন রাণু, তেমন হারিয়েও যান হঠাৎ করেই। গতবছর লকডাউনে আবার ঘরবন্দি হয়ে পড়েন তিনি। সেইসময় ক্যামেরার সামনে রাণু দেবী দাবি করেছিলেন কেউ তার খবর রাখেনা। এখনো মাঝে মাঝে খবরে আসেন তিনি, তবে শিরোনামে নয়। কিছুদিন আগে লকডাউনে মানুষকে খাবার বিলি করার ছবি ভাইরাল হয়। সাফল্য হঠাৎ করে এলেও তা ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়েছেন রানাঘাটের রাণু মন্ডল। প্লেব্যাকের ডাক ও পাচ্ছেন না আজকাল। হিমেশ রেশমিয়ার স্টুডিও থেকে ফের নিজের বাড়ির চার দেওয়ালে বন্দি রাণুর হয়তো এখনো অনেক গান গাওয়ার ইচ্ছে ছিল কিন্তু আবার কবে তিনি সেই সুযোগ পাবেন সেটাই বড় প্রশ্ন।